মাগুরা প্রতিদিন : বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ঢাকায় নিহত মাগুরার আসিফ ইকবালের মরদেহ পরিবারের বাঁধার মুখে উত্তোলন করা সম্ভব হয়নি।
ঢাকার বিজ্ঞ সিএমএম আদালতের নির্দেশে সোমবার সকালে মাগুরার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আমিনুল ইসলাম লাশ উত্তোলনের জন্য শ্রীপুর উপজেলার নোহাটা সম্মিলিত কবরস্থানে যান। সেখানে তদন্তকারী সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ঢাকা মোট্রো উত্তরের ইন্সপেক্টর এমরানুল হাসান ও মাগুরা ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতালের চিকিৎসক ডাঃ ওসমান গণি ও শ্রীপুর থানার এসআই মনসুর আহমেদসহ সংশ্লিষ্টরা আগে থেকেই অপেক্ষা করছিলেন। কিন্তু পরিবারের সদস্যরা তার লাশ কবর থেকে উত্তোলন করতে রাজি না হওয়ায় তারা ফিরে যান।
২০২৪ সালের ১৯ জুলাই ঢাকার মিরপুর ১০ নম্বর ফলপট্টি এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে শহীদ হন আসিফ ইকবাল (২৯)।
তার গ্রামের বাড়ি শ্রীপুর উপজেলার সব্দালপুর ইউনিয়নের নোহাটা গ্রামে।
সে ঢাকার বে-সরকারি ইন্ডিপেন্ডেন্ট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিবিএ পাস করে জারা বাইং হাউজে চাকুরি করত।
আসিফের বাবা জানান, ২০২৪ সালের ১৯ জুলাই ঢাকার মিরপুরে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে যোগ দেয় সে। সন্ধ্যা ৬ টার দিকে মিরপুর ১০ নম্বর ফলপট্টি এলাকায় গুলিতে আহত হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। পরদিন গ্রামের কবরস্থানে তার লাশ দাফন করা হয়। এ ঘটনায় তিনি বাদী হয়ে একটি মামলাও করেছেন।
কিন্তু নওশাদ আলী নামে ঢাকার মিরপুরের বাউনিয়া বাঁধ এলাকার এক অজ্ঞাত ব্যক্তি ১৪৬ জনকে আসামী করে একই ঘটনায় ঢাকার বিজ্ঞ সিএমএম (পল্লবী আমলী) আদালতে আরেকটি হত্যা মামলা (নং-৬৮৪/২০২৪) দায়ের করেন। যে মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক পররাষ্ট্র মন্ত্রী হাসান মাহমুদ, সাবেক তথ্য মন্ত্রী মোঃ এ আরাফাত, পল্লবী থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ইলিয়াস মোল্লাসহ ১৪৬ জন ও অজ্ঞাত আসামী রয়েছেন।
সোমবার সেই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআইয়ের ইন্সপেক্টর এমরানুল হাসান ময়না তদন্তের প্রয়োজনে লাশ উত্তোলনের জন্য ঢাকা থেকে একটি টিম নিয়ে আসেন।